ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী ও ধলেশ্বরী নদীর কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। এতে একদিকে যেমন ভাঙনে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন বসতবাড়ি হুমকিতে পড়ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
সরেজমিন দেখা যায়, ধামরাইয়ের রোয়াইল ইউনিয়নে ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন অসাধু ব্যবসায়ী। সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখেই বালু উত্তোলন বন্ধ করে সটকে পড়েন তারা। কিছুক্ষণ পর ড্রেজারের লোকজন এগিয়ে এলেও তারা বালু উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। একইভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নে বংশী নদীর তীরেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। সেখানে নদীতে বসানো ড্রেজার মেশিনটি থাকলেও জড়িতদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এসব নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, নিয়ম না মেনে প্রকাশ্যে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে তাদের ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি এখন হুমকির মুখে। তাদের দাবি সরকারিভাবে খনন করে নদীর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হোক।
মো. সেলিম নামে অভিযুক্ত এক বালু উত্তোলনকারী বলেন, তিনি ২২ বছর ধরে এ কাজ করেন। সবাইকে ম্যানেজ করেই ড্রেজার দিয়ে বালু তোলেন। এর আগে একবার এক ম্যাজিস্ট্রেট তার ড্রেজার পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ধামরাইয়ের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার জানান, এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ড্রেজার জব্দ ও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে আবারও কেউ অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গত এক বছরে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি, অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাসহ ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে প্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের সাজাও দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৩:২৪ ১৩১ বার পঠিত