বিশ্ব সাঁতার সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়াটিক্স (সাবেক ফিনা) সভাপতি হুসেইন আল মুসাল্লাম বলেছেন, সাঁতারের মানোন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্ব সাঁতার সংস্থা।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) আয়োজিত শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমসের সাঁতার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন,‘ ঢাকায় আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশের সাঁতার কর্মকর্তাদের সাথে আমার দারুণ সুখস্মৃতি ও সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সাথে স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশে অলিম্পিক মুভমেন্টের সাথেও। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি শাহীনের (এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল) সাথে দেখা হওয়ায় আমি সত্যি আনন্দিত।’
কুয়েতের এই নাগরিক আরো বলেন,‘বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন সত্যিকার অর্থেই এশিয়ান সুইমিং ফেডারেশন ও বিশ্ব সাঁতার সংস্থার ভালো সহযোগী। ঢাকা হলো সেই স্থান, যেখানে এশিয়ান একোয়াটিক্সের সূচনা হয়েছিলো। একজন এশিয়ান হিসেবে বিশ্ব সাঁতার সংস্থার নেতৃত্ব দেবার ক্ষেত্রে আমি ঢাকার গুরুত্বকে অপরিসীম মনে করি।’
অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার মহাপরিচালক এবং কুয়েত অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে দ্বায়িত্বরত হুসেইন আল মুসাল্লাম বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে চাই যে বিশ্ব সাঁতার সংস্থা থেকে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন সভাপতি এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনকে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে। যাতে করে বাংলাদেশ সাঁতার, ডাইভিং এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল দিকসমূহে উন্নতি করতে পারে।’
সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম রয়েছে। তিন ধাপের কার্যক্রম আমরা নিয়ে থাকি। প্রথম ধাপে, একেবারে তৃনমূল থেকেই শুরু করা হলে একেবারে শিশুদের জন্য সাঁতার শেখার সুযোগ তৈরি হবে। এইক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি দিক থেকে সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্ব সাঁতার সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে, সাঁতারুদের মানোন্নয়নের চেষ্টা করা যায়। এক্ষেত্রে শীঘ্রই উন্নত মানের কোচদের বাংলাদেশে আট সপ্তাহের জন্য পাঠানো হবে যারা স্থানীয় কোচদের প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়া তৃতীয় পর্যায়ে স্থানীয় কোচ ও রেফরিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে বাছাই করে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বিশ্ব সাঁতার সংস্থা।’
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫১:১৫ ১৪৮ বার পঠিত