বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ রিজার্ভ ছিল শূন্য। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। দেশের এমন অবস্থায়ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেসময় প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারী করেছিলেন এবং শিক্ষার প্রসারে কুদরত ই খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছিলেন। ঠিক একই ভাবে শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন ও ল্যাব নির্মান করে চলেছেন। একই সাথে তিনি যুক্ত করছেন শিক্ষাবান্ধব আধুনিক সব প্রযুক্তি।
আজ (শনিবার) সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর শহীদ নুরুল হাসান মহাবিদ্যালয়ের সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু নতুন ভবন হলেই হবে না শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দকে একযোগে কাজ করতে হবে। একটি দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পড়ালেখার বিকল্প নেই। যে দেশ শিক্ষায় যত ভালো সে দেশ তত উন্নত। তবে এখন শুধু ডিগ্রির জন্য পড়ালেখা করলেই হবে না। বরঞ্চ বিজ্ঞান ভিত্তিক, প্রায়োগিক পড়ালেখা ও গবেষণায় মনযোগ দিতে হবে।
মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের দেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ। তিনি না থাকলে, বর্তমান সরকার না থাকলে এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দেশের স্বার্থ ও উন্নয়নের স্বার্থ আমাদের সবার বিবেচনা করতে হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সচিব ড, মুজিবুর রহমান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের যুগ্মসচিব কাজী আতিয়ুর রহমান সূবর্নজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান মীর মনজুর এলাহীসহ স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৭:৫৯ ১৩৯ বার পঠিত