এক বা দুই নয়, একসঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন ১১ যুগল। এতিম ও প্রতিবন্ধীদের বিয়ে দেয়ার ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে ভোলা উপজেলা সমিতি, ঢাকা। এতে খুশি নবদম্পতি ও অভিভাবকরা।
হাসান ও মিতু। দুজনই জন্মগতভাবে বাকপ্রতিবন্ধী। কথা বলতে না পারলেও সাজসজ্জায় তো আর বাধা নেই। বিয়ের দিনে হাস্যোজ্জ্বল মুখভঙ্গিতে দেখা গেল তাদের।
শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর পান্থপথের একটি কনভেনশন সেন্টারে তাদের মতো এতিম ও প্রতিবন্ধী ১১ যুগলের বিয়ের আয়োজন করে ভোলা উপজেলা সমিতি-ঢাকা। এ জন্য ভোলা থেকে তাদের নিয়ে আসা হয় ঢাকায়।
বিয়ের সাজে সাজিয়ে মঞ্চে তোলা হয় বর-কনেকে। সেখানেই সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ে। পরে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী। পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেন বিয়ের আয়োজনে। বিবেক গ্রুপ অব কোম্পানির অর্থায়নে এ আয়োজনে খুশি নবদম্পতিরা।
এতিম ও প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজনে খুশি স্বজনরা। তারা বলছেন, এমন ধুমধাম করে বিয়ে দিতে পারব বলে কল্পনাও করতে পারিনি। এমন সুন্দর পরিবেশে বিয়ে হওয়ায় খুবই আনন্দ লাগছে।
গত কয়েক বছর ধরে এমন আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি। আগামী দিনে তাদের কর্মসংস্থানের কথাও জানান আয়োজকরা।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এম ইউ গোলাম রসুল বেলাল বলেন, ‘আমরা অনেককে ঘর দিয়েছি। প্রতিটি ঘরের মূল্য ছিল ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া অনেককে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি; সন্তান সম্ভবা দম্পতিকে অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৩:১৩ ১৪৭ বার পঠিত