শুরুতে জোড়া উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। এরপর রান-আউটে শান্তর বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গেও জুটি গড়েন মুশফিক। যদিও জুটিটা ৩৮ রানের বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি মুশফিক।
ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদের গুগলিতে ৭০ রানে ব্যাট করা মুশি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে ৯৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস খেলেন মুশফিক। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে মুশফিকের বিদায়ের এক ওভার পর ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহও। রশিদকে ছক্কা মেরে ঝোড়ো ইনিংসের ইঙ্গিত দেন রিয়াদ। তবে এক বল পর অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ফলে দ্রুত দুই উইকেটের পতনে আবার চাপে পড়ে যায় স্বাগতিক দল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ৩৮ ও আফিফ হোসেন ৭ রানে ব্যাট করছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দেন ওপেনার লিটন দাস। স্যাম কারানের বলে উইকেটের পিছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিস ওকসের করা দ্বিতীয় ওভারটা দেখেশুনেই খেলেন তিনি। তৃতীয় ওভারের প্রথম তিন বলে ১৩ রানও চলে এসেছিল। কিন্তু শেষ বলে প্যাডের ওপর থেকে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং-এজড হয়ে পয়েন্টে জেমস ভিন্সের সহজ ক্যাচে আউট হন টাইগার কাপ্তান তামিম।
শুরুতেই বাংলাদেশের এলোমেলো ব্যাটিংয়ে তিন ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়া স্বাগতিকরা ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর বাংলাদেশের সেই চাপ সামলে ইনিংস মেরামতের গুরুদায়িত্ব নেন নাজমুল শান্ত-মুশফিক। তারা দুজনে মিলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন।
ফলে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামলে নাজমুল-মুশফিক জুটিটা বেশ জমেও উঠেছিল। তবে শান্তর রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায়ে তাদের জুটি ভেঙে যায়। সাজঘরে ফেরার আগে ৭১ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। নাজমুলের ফিরে যাওয়ার দুই বল পর ফিফটির দেখা পান মুশফিক। ওয়ানডেতে এটি তার ৪৩তম ফিফটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৭:১৮ ১২৪ বার পঠিত