ঢাকা, ০৬ মার্চ ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদানকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে, অ্যামচেম আয়োজিত আজকের আলোচনা অনুষ্ঠান নারীর আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ।
স্পীকার আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন বল রুমে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) উদ্যোগে আয়োজিত ‘উইমেন ইন বিজনেস: এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
স্পীকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ নির্মাণে নিরলস কাজ করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের এই অগ্রযাত্রায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার লিঙ্গসমতাভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হার পাওয়ার’ নামে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং প্রত্যেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে পুঁজি সরবরাহ করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক শক্তি হবেন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা। তাই, নারীদের উৎসাহিত করতে হবে। উন্নয়নের মূলস্রোতে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে ব্যবসায় অধিকতর নিয়োজিত হওয়া জরুরি। ব্লু ইকোনমি-তেও নারীদের সম্পৃক্ত হতে হবে। সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ সহায়তা, ব্যাংকিং সহায়তাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার ও অন্যান্য সহায়তা নারীদের জন্য বিস্তৃত করা হয়েছে। কোভিড পরবর্তী নিও-নরমাল পরিস্থিতিতে নারীদের মেধা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পীকার।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউএস এম্বাসি ঢাকার ডেপুটি চিফ অফ মিশন হেলেন লাফাভে এবং সেমস-গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গনমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১১:৩৩ ১৫৮ বার পঠিত