আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি একটি বিষফোঁড়া। তারা বাংলাদেশের রাজনীতিকে দূষিত করছে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নামক দলটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য একটি বিষফোঁড়া। আজকে এই বিষফোড়া পদে পদে এখানকার রাজনৈতিক অঙ্গনকে কলুষিত করছে, রক্তাক্ত করতে দূষিত করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আত্মসমালোচনা করতে হবে। নিজেদের ঘাটতিগুলো পূরণ করতে হবে। আমাদের শত্রুরা বসে নেই। এরা জেনে গেছে, নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কাছে পরাজয় নিশ্চিত।
তিনি বলেন, আজকে তাই ৭ মার্চের এই ঐতিহাসিক দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, আট-ঘাট বেঁধে নামতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক-জঙ্গিবাদী শক্তি অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ঘরে-বাইরে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজকে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির ভয় পাওয়ার কারন নেই। আওয়ামী লীগ একা চলে না, একা চলবে না। আমরা আমাদের সমমনা জোটকে নিয়েই এগিয়ে যাবো। এই নিয়ে ভয়ের কোনো কারন নেই। অহেতুক সংশয়ের পরিবেশ কেউ সৃষ্টি করবেন না।
সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ সারাবিশ্বের শোষিত মানুষের পক্ষের ভাষণ। এই ভাষণটি আমাদের জন্য সম্পদ। যারা এই ভাষণকে বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল তারা পাকিস্তানের সহযোগী।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, যারা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যা করে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলার জনগণকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। খুনি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর বাংলাদেশের মুখ থুবড়ে পড়েছিল, জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে বিপন্ন করে তুলেছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলায় ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর সেই দর্শন, বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, অন্নের নিশ্চয়তা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা, শিক্ষার নিশ্চয়তাসহ সার্বজনীন অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার পথ রচনা করেছেন।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ৭ মার্চ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে বাঙালি জাতি তার মুক্তির দিশা খুঁজে পেয়েছিল।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থায় বাংলাদেশে আর কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। আর বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে বিএনপির অবস্থা বিপন্ন হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:২১ ১৪৫ বার পঠিত