ঢাকা, ০৯ মার্চ ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, কোন ব্যাক্তিকে যেন কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে কিডনী প্রতিস্থাপন ও ডায়ালাইসিস পর্যায়ে যেতে না হয়। এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই সবাই যেন এই রোগের প্রতিরোধ করতে পারে সেবিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যম, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। কিডনী রোগ প্রতিরোধ করে আমাদের সুস্থ্য ও স্মার্ট জাতি হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর মিরপুরস্থ কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনভেনশন হলে বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষ্যে ‘সুস্থ্য কিডনী সবার জন্য, অপ্রত্যাশিত দুর্যোগের প্রস্তুতি, প্রয়োজন ঝুকিপূর্ণদের সহায়তা’ প্রতিপাদ্যে কিডনী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘কিডনী রোগের চিকিৎসা সবার জন্য সর্বত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছেন, যার যা আছে তাই নিয়ে সংকট মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের সামর্থ্যের মাঝে থেকেই রোগ প্রতিরোধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে, এরপর সম্ভব না হলে প্রতিষেধকে যাব। তিনি স্বাস্থ্য সেবাকে নির্বিঘ্ন করতে সংবিধানে চিকিৎসাকে মৌলিক চাহিদার অন্তর্ভূক্ত করে গিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে সুস্থ্য মানবসম্পদ তৈরির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, কিডনী রোগ কী কী কারণে হতে পারে আমরা অধিকাংশ মানুষই তা জানি না, জনসচেতনতা থাকলে অনেকাংশেই তা এড়ানো সম্ভব। শুধু কিডনী রোগ নয় আমাদের সব রোগের ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ এড়ানোর পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। নানা ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের অসংক্রামক রোগ হতে পারে, সেগুলোরও পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। আর দুর্ভাগ্যক্রমে দুর্যোগে পড়ে গেলে কিভাবে তা সামাল দেয়া যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দারস্থ হতে হবে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, কোভিড ও যুদ্ধের প্রভাবে বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, মূল্যস্থীতি হচ্ছে। এ সময় আমাদের সবার উচিৎ মিতব্যয়ী হওয়া, অথচ এ সময়েও ধুমপায়ীরা ধুমপান করছে, মাদকাসক্ত রয়েছে। এর ফলে একদিকে সে তার নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি যেমন করছে অন্যদিকে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের পরিবেশকে দূষিত করছে। ফলে রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয় এবং অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। কিডনী দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
কিডনী ফাউন্ডেশন,বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মোঃ রোবেদ আমিন, লাইন ডাইরেক্টর, নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, ডাইরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস, অধ্যাপক ডা. মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, ভাইস প্রেসিডেন্ট, কিডনী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, এবং অধ্যাপক ডা. শামিম আহমেদ, কিডনী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, টিনী ফেরদৌস রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কিডনী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, । এছাড়া গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৮:১১ ১৩৮ বার পঠিত