ক্রেতাদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অনেকে ভাবে সামনে রমজান মাস, তার আগেই এক মাসের জন্য সবকিছু কিনে নিতে হবে। এ রকম হলে তো সাপ্লাইটা ঠিকমতো থাকে না। কারণ সাপ্লাইটা একটা নিয়মের মধ্যে চলে। প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে একটা নিয়মের মধ্যে সাপ্লাই চলে। ক্রেতারা যেন এ বিষয়ে একটু কম্প্রোমাইজ করেন। যার যতটুকু লাগবে, সে ততটুকু নিলেই হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের সাপ্লাই ঠিকঠাক আছে। রমজান মাস উপলক্ষে কেউ কোথাও মজুত করছে কিনা এ বিষয়টি আপনারা দেখবেন। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাই। পুলিশসহ সবকিছুই আমাদের সঙ্গে আছে। তারপরও সবচেয়ে বেশি সচেতন আপনারা। আপনাদের একটা নিউজ পেলে আমাদের পক্ষে কাজ করতে অনেক সময় আরও বেশি সহজ হয়। সে বিষয়ে আপনাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দরকার।
রোজার আগে দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দাম বৃদ্ধির জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যাবে না। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া দরকার। রোজার মাসে সবার সংযমী হওয়া উচিত। যখন পণ্যের দাম বাড়ে তখন হু হু করে বাড়ে। কিন্তু কমতে সময় লাগে।
ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা মূলত প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় দেখে। যখন এটার দাম বাড়ে, তখন এর প্রভাব আমাদের গায়ে লাগে। কারণ সবাই আমাদের কাছে আসে। মানুষের কেনার ক্ষমতায় আঘাত লাগে। গ্লোবাল প্রভাব তো আমাদের ওপরও পড়ে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, সব দিন একরকম যায় না। ডলার টাকা ডি-ভ্যালু হচ্ছে। সবাই এর মধ্যেই পড়েছে। বরং অন্য দেশের তুলনায় আমরা আমাদের এখানে কম পড়েছে। আমরা দরিদ্র দেশ বিধায় কষ্টটা বেশি ফিল করছি।
তিনি বলেন, যখন ক্রাইসিস হয় তখন কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক এটার সুযোগ নিতে চায়। দেশের ব্যবসায়ীদের যে মোরালিটি থাকার কথা, সেটা আমরা পাই না। যেহেতু সামনে রমজান মাস আসছে, আমি প্রতিবারই বলি যে রমজান মাস তাই একটু সংযমী হন। বড় উৎসবে সবাই কিন্তু ছাড়া দেয়, সাহায্য করে। আমাদের দেশে সেই প্রভাবটা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৫:২৫ ১৫১ বার পঠিত