পীরগঞ্জ, ১৯ মার্চ ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি বলেছেন, তথ্য, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে একটি বিপ্লব ঘটে গিয়েছে। বর্তমানে এই সেক্টর থেকে দেশের আয় দেড় বিলিয়ন এবং ২০২৫ সালের মাঝে এটিকে ৫ বিলিয়নে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, যিনি এই মাটির সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয়। আর এ ধরনের স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন সম্ভাবনার নবদিগন্ত উম্মোচন করবে।
আজ (রবিবার) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা-২০২৩ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মেলায় তথ্য, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক, এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করেন। আইসিটি সেক্টরে উন্নয়নের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের যাত্রায় বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সজিব ওয়াজেদ জয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং ২০৪১ সালের মাঝে তিনি দেশকে উন্নত ও স্মার্ট এবং জনগনকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
তথ্য, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজিব ওয়াজেদ জয়। ফলে ১২ কোটি মানুষ এখন ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে এবং বাংলাদেশকে ক্যাশলেস ট্রানজেকশনের দেশে রূপান্তর করতে চান তিনি। আর স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্ভাবন করেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ফ্রিল্যান্সিং ও ই-কমার্সের প্রসার ঘটিয়ে দেশ থেকে বেকারত্বের অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর আওয়ামীলীগ সরকার।
অনুষ্ঠানে সরকারে অর্জনসমূহ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার উপর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমার, স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা অর্জন করায় ১০ জনকে ল্যাপটপ উপহার দেয়া হয় এবং ২০ জন স্মার্ট নারীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ফ্রিলান্সিংয়ে সফলতার গল্প শোনান ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা নুর তাজকিয়া, মেহেদী হাসান, মোছাঃ সুলতানা বেগম ও মোঃ আরিফুজ্জামান মুন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও বাইবেল পাঠ করা হয়।
জেলাপ্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে এবং কাজী তারানা ও হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা, রুপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের পরিচালক ও উপসচিব হুমায়ুন কবির, সম্ভাবনা ও সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের প্রধান নেপাল বিন হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০২:২৯ ১৭০ বার পঠিত