মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি:কয়েকটি সিমেন্টের পিলারের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ টিনের চালা। রাস্তা থেকে সেটির কাছে যেতে হলে পার হতে হয় কয়েকটি কবর। আর চারদিকে আবাদি জমি। এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘ ২০ বছরের অধিক সময় ধরে। দেখে পরিত্যাক্ত ঘর মনে হলেও খাতা-কলমে সেটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সোমবার (২৭ মার্চ ) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বেংরোল ফুটানিবাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির কোনো সাইনবোর্ড ও ভবন নেই। শুধু ১০টি খুটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে টিনের চালা। তবে বাস্তবতায় বিদ্যালয়ের অস্তিত্বে না থাকলেও প্রতি বছরে খাতা-কলমে চলমান শিক্ষাক্রম দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবই। বিদ্যালয়টির এমন অবস্থাতেও পাঠ্যপুস্তক দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেংরোল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, আমরা এবার সব শ্রেণির ৫০ সেট বই পেয়েছি। সেগুলো আমাদের একজন শিক্ষকের বাসায় রেখেছি। আমরা অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি অনুমোদনের, কিন্তু পাচ্ছি না। শিক্ষা অফিসের সকল নির্দেশনা আমরা মেনে চলার চেষ্টা করি।
নতুন পাঠ্যবইগুলো কী হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেগুলো আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে দিয়ে দেই।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ২০০০ সালের দিকে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু করি। তারপর থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছি সরকারিকরণ করার। আশা করছি সামনে এটি সরকারি হবে। আর বইগুলো পড়াশোনার জন্য এলাকার যে কোনো শিক্ষার্থী চাইলে আমরা দেই।
অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের সরকারি হওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মনসুর আহমেদ বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম। তাদের কোনো শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা বই পেল সেটি তদন্ত করা হবে। সেই সঙ্গে তারা বই বিক্রি করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৬:১৬ ১৮৫ বার পঠিত