নকল বিল ভাউচার তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংকে ইমেইল করেন এক প্রতারক। তারপর ওইসব ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ওই প্রতারককে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
জনতা, অগ্রণী, পূবালী, যমুনাসহ ৩০-৩৫টি ব্যাংকের প্রায় অর্ধশত ব্রাঞ্চেই-মেইল করেন এক ব্যক্তি। সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো এবং প্রিন্টারের টোনারের বিল পরিশোধের জন্য মূলত তার এই মেইল।
বিল চেয়ে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের হয়ে ফোনও আসে ম্যানেজারের কাছে। ফোন করে আবার ওই একই বিল পরিশোধের নির্দেশ দেন ব্যাংকটির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাও। ব্যবস্থাপক সরল বিশ্বাসে যাচাই বাছাই না করেই পরিশোধ করে দেন বিল। আর এই পুরো বিষয়টিই প্রতারকের ফাঁদ।
এমন অভিনব প্রতারণার ছক তৈরি এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন কুষ্টিয়ার কোরবান আলী। ব্যাংক ম্যানেজারদের বোকা বানিয়ে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, ব্যাংকের ওয়েবসাইট ঘেটে ই-মেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করেন তিনি। তৈরি করেন নকল বিল ভাউচার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, একই ব্যক্তি যখন দুইবার দুইভাবে সেজে ফোন দেয় তখন বেশ কিছু ব্যাংকের ম্যানেজার বিব্রত হয়। তারা ৮০-৮৫ হাজার টাকা থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স কেটে ৬০-৬৫ হাজার টাকা তাকে নগদ বা রকেটে পেমেন্ট করে দেন।
পুলিশ বলছে, কোরবান শুরুতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিন্টারের টোনার সরবরাহ করতেন। মাঝে মাঝে পণ্য সামগ্রী না দিয়েও নকল ভাউচারের মাধ্যমে বিল তুলতেন। একসময় টার্গেট করেন ব্যাংক।
ইকবাল হোসাইন আরও বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক বাছাই করে সে এই প্রতারণা করে। সে ১০টি মেইল করলে ৫টি মেইলে হয়তো ভালো সাড়া পায়। আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি সে প্রায় বছরখানেক ধরে এই কাজ করে আসছে। এভাবে সে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৬০-৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৮:২৮ ১৬১ বার পঠিত