সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হাসল নিউজিল্যান্ডই। প্রথম দুই ম্যাচের পর সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আসায় শেষ ম্যাচটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অলিখিত ফাইনাল। কুইন্সটাউনের জন ডেভিস ওভাল স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের পুরোটা জুড়েই লড়াই চলেছে হাড্ডাহাড্ডি। কখনো ম্যাচ ঝুঁকেছে নিউজিল্যান্ডের দিকে, কখনো শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য কিউইদের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। এমন সমীকরণে প্রথম বলেই ৬ খাওয়ার পরেও ঘুরে দাঁড়ান লাহিরু কুমারা। পরপর তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে লড়াইও জমিয়ে তোলে লঙ্কানরা। তবে এতকিছুর পরেও শেষ হাসিটা হেসেছে স্বাগতিকরাই।
শুরুতে কুশল মেন্ডিস এবং কুশল পেরেরার ব্যাটে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টিম সাইফার্টের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এক বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান করে সফরকারীরা। ২৫ বলে ২৫ রান করে পাথুম নিসাঙ্কা ফিরলে প্রথম সাফল্যের দেখা পায় কিউইরা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিটাও খেলেছে বেশ। কুশল মেন্ডিস এবং কুশল পেরেরার ৪৬ রানের জুটিতে রান উঠেছে খুব দ্রুত। মেন্ডিস ৪৮ বলে ৭৩ রান করে ফেরার পর ৩৩ রান করে ফেরেন পেরেরাও। ধনঞ্জয়ার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। শেষদিকে দাসুন শানাকার ১৫ রানে ১৮২ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় সফরকারীরা।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় নিউজিল্যান্ডও। পাওয়ারপ্লেতে একটি উইকেট হারালেও ৫৮ রান আসে স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রান এসেছে ঝড়ের গতিতে। টম লাথাম এবং টিম সাইফার্ট মিলে এই উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন।
২৩ বলে ৩১ রান করে লাথাম ফিরলে খানিক চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। শেষ চার ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান, হাতে ৮ উইকেট। ৮৮ রানের নায়কোচিত ইনিংস খেলে সাইফার্টের বিদায়ের পর সেই সমীকরণটা গিয়ে দাঁড়ায় এক ওভারে দশ রান। কিছুটা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রচিন রবীন্দ্র এবং অ্যাডাম মিলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫:২০ ১৫৩ বার পঠিত