মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই দুই মাস জাটকা সুরক্ষা দেয়া গেলে ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাটকা সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সফল করতে প্রতিদিনই যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। তারপরও সুযোগ পেলেই নদীতে জাল ফেলছেন জেলেরা। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ মৎস্য গবেষকদের।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। তারপরও বিশাল নদী পাহারা দিয়ে জেলেদের লাগাম টেনে ধরা অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সর্বোচ্চ জনবল নিয়োগ করেও তাদের থামানো যাচ্ছে না।
ইলিশ গবেষক ও দেশের শীর্ষ মৎস্যবিজ্ঞানী ড. আনিছুর রহমান জানান, দুই মাস জাটকা সুরক্ষা দেয়া গেলে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন ছয় লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এতে দেশে ইলিশের চাহিদা পূরণ করে আরও বেশি রফতানি সম্ভব।
এদিকে চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনার একশ কিলোমিটার ইলিশের অভয়াশ্রমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মাছ ধরছেন জেলেরা। টহল দলের উপস্থিতি টের পেলে দৃষ্টির আড়ালে চলে যায় তারা। তাদের ফেলে যাওয়া জালে মেলে বিপুল পরিমাণ জাটকা।
নিষেধাজ্ঞাকালে নিবন্ধিত ৪০ হাজারেরও বেশি জেলেকে প্রতি মাসে মোট চার মাস ১৬০ কেজি সরকারি খাদ্য সহায়তার চাল দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় গত এক মাসের অভিযানে ছয় শতাধিক জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। জব্দ করা হয়েছে সাড়ে ৭ কোটি মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১০ হাজার কেজি জাটকা।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। ওই সময় সমুদ্রের লোনা পানি থেকে ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য নদীর মিঠা পানিতে আসে। এ বছর বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো হাওয়া ও নদীতে পানিপ্রবাহ ছিল বেশি। অনুকূল পরিবেশে বেশি পরিমাণে মা ইলিশ সমুদ্রের লোনা পানি থেকে নদীর মিঠা পানিতে এসেছে ডিম ছাড়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৩:৫৭ ১৬১ বার পঠিত