এক বছরের ব্যবধানে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এ বৈঠকে হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যেই আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠক। এতে যোগ দিতে রোববার (৯ এপ্রিল) ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য সুবিধা, বঙ্গবন্ধুর খুনির প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রস্তুত ওয়াশিংটন, প্রস্তুত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও বাংলাদেশ দূতাবাসও।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে কী কী বিষয় প্রাধান্য পাবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালাবে বাংলাদেশ। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন, বহুপক্ষীয় সহযোগিতাসহ আরও নানা বিষয় গুরুত্ব পাবে।
অন্যদিকে, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার হতে পারে এ আলোচনায়। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের কৌশল নির্ধারণসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন অবস্থানকে সমর্থন দেয়ার আহ্বানও আসতে পারে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।
এর আগে, ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল এ দুই নেতার মধ্যে প্রথম বৈঠক হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা নেয়ার পর এটি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিতীয় বৈঠক।
মোমেন-ব্লিঙ্কেনের বৈঠক নিয়ে ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, গত বছরের এপ্রিলেই যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিল মোমেন-ব্লিঙ্কেন। গত বৈঠকের পর দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেড়েছে। এরপর দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সিরিজ সফর বিনিময় হয়েছে। এবারের বৈঠক অনেক কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, বৈঠকে নির্বাচন প্রসঙ্গ বেশ গুরুত্ব পাবে। ঢাকার পক্ষ থেকে নির্বাচন ইস্যু তোলা হতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর-এমন বার্তা ওয়াশিংটনকে দেয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত বছরের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। সবশেষ, চলতি বছরের মার্চে শুরুর দিকে নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের সময় ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল মোমেনের। তবে সেখানে আনুষ্ঠানিক বা সাইডলাইনে কোনো বৈঠক হয়নি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৬:৫৩ ১৪৪ বার পঠিত