স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই স্বাস্থ্যখাতে প্রকৃত উন্নয়ন এসেছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। সেই বিষয়টি মনে রেখে দেশের স্বাস্থ্যখাত বর্তমানে নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ‘মায়েদের মাতৃত্বকালীন সেবার মান বাড়াতে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। দেশের প্রায় ৪ হাজারটি ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের জন্য ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ে দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কর্মসূচির ব্যবস্থা চালু করা হবে।’
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Health for All’ যার বাংলা ভাবার্থ ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’।
মন্ত্রী বলেন, আগে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছর, আর এখন ৭৩ বছর। দেশে টিকাদানে ৯৮ ভাগ সফলতা এসেছে অথচ আগে ছিল মাত্র ২০ ভাগ। আগে দেশে শিশু মৃত্যুহার ছিল ১৫০ জনের বেশি আর এখন সেটি মাত্র ২৩ জন। আগে দেশে মাত্র ১০ ভাগ মানুষ পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করতো এখন সেটি ৭৩ ভাগ হয়েছে। আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ আর এখন মাত্র দশমিক ৯৮ ভাগ মাত্র। আগে দেশে খর্বকায় মানুষের জন্মহার ছিল ৬০ ভাগ । কিন্তু এখন ঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ায় মাত্র ২৫ ভাগ এর নিচে খর্বকায় মানুষ জন্ম নেয়। দেশে আগে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ছিল না এখন ২২টি ইনস্টিটিউট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগে মাত্র ৮টি মেডিকেল কলেজ ছিল, এখন ৩৭টি মেডিকেল কলেজ করা হয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে।
ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশের ১২টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নামমাত্র ‘ফি’ এর মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এই সেবা দেশের সকল হাসপাতালে চালু করা হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, রোগী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী সংসদে এটি পাশ হলেই আইনটি কার্যকর হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক
পরিষদের সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. বর্দন জং রানা।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:২৭ ১৫৩ বার পঠিত