দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে দেখা দিয়েছে হিট স্ট্রোকের শঙ্কা। অবজ্ঞা করলে হতে পারে মৃত্যুও। তাইতো বাড়তি তাপমাত্রায় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চৈত্রের শেষে তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো দেশ। সপ্তাহখানেক হলো ক্রমেই যেনো বাড়ছে তাপমাত্রা। এরই মধ্যে পারদ চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এ দফায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে তাপমাত্রা।
পোড়া রোদে যারা বেরুচ্ছেন তারাই জানেন চৈত্রের কী দহন! এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে হিট স্ট্রোকের শঙ্কা, যা থেকে রোগীর মুত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক - হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কী?
হিট স্ট্রোকের রোগী হঠাৎ করেই অজ্ঞান হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা হালকা অনুভব করা। এছাড়া হতে পারে খিঁচুনি, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস, বমিভাব কিংবা বমি হওয়া, অসংলগ্ন আচরণ করা।
মেডিসিন ও নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. মুহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, হিট স্ট্রোকের রোগীর যেকোনো স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যাবে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে হার্টবিট রেট এবং ব্রেনে রক্ত সঞ্চালন কমে গিয়ে রোগী অজ্ঞান হতে পারে।
ডা. মুহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এ পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে বাইরে যাওয়া। এমন উপসর্গ দেখা দিলে পর্যাপ্ত বাতাস আছে এমন ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে যেতে হবে। গোসল করা আদৌ সম্ভব না হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে গা মুছে নিতে হবে। পড়তে হবে ঢিলেঢালা পোশাক। ধীরে ধীরে পান করতে হবে মৃদু ঠান্ডা পানি। তবে খিঁচুনি দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। বেশি বেশি পানি ও তরল খাবার গ্রহণের পাশাপাশি খেতে হবে সহজপাচ্য খাবার।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তফা কামাল রউফ বলেন, শাকসবজি, ফল ও দই-চিড়া খেতে হবে। আর অবশ্যই রোদ যাতে কম লাগে সেজন্য ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
শিশু ও বৃদ্ধ এবং যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা এ গরমে বেশি রয়েছেন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:৫২ ১১৪ বার পঠিত