য়্যুভেন্তাসের এবারের মৌসুমটা ভুলে যাওয়ারই কথা। চলতি মৌসুমে আর্থিক অনিয়মের জন্য ১৫ পয়েন্ট কাটা হয়েছে লিগ পয়েন্ট থেকে। এরপরেও বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে আলেগ্রির দল। তবে লিগে বারবার হোঁচট খাওয়ায়, শেষ চারে থাকাটা মোটামুটি অসম্ভবই হয়ে গেছে তাদের। তার মধ্যে রোববার (১৬ এপ্রিল) লিগ ম্যাচে সাসুওলোর কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে তারা।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় য়্যুভেন্তাস। এরপর ইউরোপা লিগে এসে ভালোই খেলছে তারা। এরই মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে স্পোর্টিংকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমির পথে এগিয়ে রয়েছে তারা। তবে লিগে য়্যুভেন্তাসের যাচ্ছেতাই অবস্থা। শেষ দুই ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি আলেগ্রির দল।
লাৎজিওর কাছে গত সপ্তাহে হারের পর এবার সাসুওলোর কাছে ১-০ গোলে হারল য়্যুভেন্তাস। সাসুওলোর হয়ে জয় সূচক গোলটি করেছেন গ্রেগোয়ার ডেফ্রেল। সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামা য়্যুভেন্তাস পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়েছে। তবে প্রত্যাশিত গোলের দেখা পায়নি।
প্রথম হাফে গোলশূন্য থাকার পর মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় হাফে গোল করতে পারবে না কোন দল। দুই দলের গোলরক্ষকের আসাধারন সব সেভে বারবার গোল বঞ্চিত হচ্ছিল দুই দলই। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে এগিয়ে জেতে পারতো স্বাগতিক সাসুওলো। তবে য়্যুভেন্তাস গোলরক্ষক পেরিনের অসম্ভব এক সেভে বেচে যায় তুরিনের বুড়িরা।
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে য়্যুভেন্তাসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ড্যানিলোর শট রুখে দেয় সাসুওলোর গোলরক্ষক। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ডেফ্রেল। সাসুওলোর পাওয়া কর্নার ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে পারেনি য়্যুভেন্তাসের ডিফেন্ডাররা। ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে ওয়ান টাচে গোল করেন ডেফ্রেল।
এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে য়্যুভেন্তাস। তাতে কোন লাভ হয়নি। ৭৩ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল তারা। কর্নার থেকে হেড করেন মিলিক। তবে তা দুর্দান্তভাবে সেভ করেন সাসুওলোর গোলরক্ষক আন্দ্রেয়া কনসিগলি। এরপর আর কোন সুযোগ তৈরি করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে য়্যুভেন্তাস।
এই হারে অবশ্য লিগ টেবিলে য়্যুভেন্তাসের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। ৩০ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাতেই আছে তুরিনের ক্লাবটি। শেষ চার নিশ্চিত করা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের জন্য। ফলে পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে হলে তাদের ইউরোপা লিগ শিরোপা জিততে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১১:২৩ ১৪৩ বার পঠিত