যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে সুদানে ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার মুহূর্তেই দেশটির রাজধানী খার্তুমে নতুন করে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের চাপের মুখে সুদানে লড়াইরত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর উভয় পক্ষই মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছিলেন।
বলা হয়েছিল, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে (জিএমটি ১৬:০০) যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।
কিন্তু এরপরও দেশটির রাজধানী খার্তুমে তুমুল গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার অধিবাসীরা।
খালিদ সাদ নামের এক অধিবাসী জানান, সারাদিনই গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে জঙ্গিবিমান মাথার ওপর চক্কর দেয়ার শব্দ। তারা ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারপরও বিমান, গোলাগুলি, বোমা হামলা এখনও চলছে। তারা যা বলে সেকথায় কোনো শ্রদ্ধাও তাদের নেই।
গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলেছেন সুদানে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস।
রাজধানী খার্তুমসহ আশেপাশের কয়েকটি নগরীতে বিমান হামলা, গোলা বর্ষণ এবং ছোট ছোট ভারি অস্ত্র নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে।
সেনাবাহিনী এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) উভয়ই রাজধানী খার্তুমের দখল নেয়ার দাবি করেছে।
এর আগে আরএসএফের প্রধান হামদান দাগালো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলাপ ও বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের আহ্বানে তারা অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।
তবে আরএসএফ প্রধান সুদানের সেনাবাহিনীর অস্ত্রবিরতি পালনের মনোভাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শহরে তাদের যুদ্ধবিমানের ব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ঘোর লঙ্ঘন।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সঙ্গে তিনি আলোচনা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন।
অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছিল সুদানি সেনাবাহিনীও। বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তা জেনারেল শামস আল-দিন কাবাশি আল আরাবিয়া টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে একমত হয়েছে যা সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১১:১৮ ১৪২ বার পঠিত