দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে শুরু হলো মোটরসাইকেল চলাচল। সকাল ৬টা থেকে নির্ধারিত সার্ভিস লেনে চলাচল করলেও মধ্যরাত থেকে সেতুর প্রবেশপথে মোটরসাইকেলের সারি দীর্ঘ হতে থাকে। এতে অতিরিক্ত বাইকের চাপে প্রথম দিনেই হিমশিম খেতে দেখা যায় টোল কর্তৃপক্ষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওয়া টোল প্লাজা থেকে জাজিরা প্রান্ত অভিমুখে সড়কজুড়ে হাজারো মোটরসাইকেলের উপস্থিতি। গভীর রাত থেকে সেতুতে পারাপারের জন্য টোলপ্লাজার দিকে সড়কে অবস্থান নেন বাইকাররা।
সেতুর উত্তর থানা মোড় থেকে সারিবদ্ধভাবে টোলপ্লাজায় পৌঁছে নির্ধারিত টোল দিয়ে সেতুতে উঠছিলেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ডেডিকেটেড লেনসহ মাওয়া টোল প্লাজার ২টি বুথ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টোল।
নির্দিষ্ট সময়ের ৫ মিনিট আগেই চালু হওয়া বাইক সেতুর বাম পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে প্রায় ১১ মিনিটে অতিক্রম করছে ৯.৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। বাইকাররা সব শর্ত মেনেই নির্ধারিত লেন দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে সেতু পার হচ্ছেন।
মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথম টোল প্লাজা অতিক্রম করে সোহাগ হোসেন নামে এক যুবক। তিনি বলেন, রাত ২টা থেকে লাইনে অপেক্ষা করেছি। দীর্ঘদিন পর মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। এ অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।
তবে বেশির ভাগ বাইকার সেহরির পর লাইনে জড়ো হন। অনেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাইকে বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ করতে। সবার চোখে-মুখেই আনন্দের ছাপ। তারা পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচলের সুযোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী জানান, বাইকের চাপ বেশি থাকায় মাওয়া টোল প্লাজার দুটি বুথে টোল আদায় করা হয়। চার-লেন সড়কপথ চালুর পরও দুই পাশে ২.৩০ মিটার করে সার্ভিস লেনেই বাই চলছে। তাই অন্যান্য যানবাহন চলাচলে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। প্রথম আড়াই ঘণ্টায় প্রায় ৩ হাজার বাইক পদ্মা সেতু পার হয়েছে।
যান চলাচলের জন্য গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হলেও বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহতের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৬:০৮ ১৯৩ বার পঠিত