পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসন, ভাষা, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়াতেন ডক্টর্জ মামুন নামে এক ব্যক্তি।
২০২৪ সালে বাংলা বর্ণমালা থেকে ৭টি বর্ণ বাদ দেয়া হবে এমন গুজব ছড়িয়ে দেয়ার কারিগরও তিনি। ডক্টর্জ মামুন নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, গুজব ছড়ানোই তার কাজ ছিল।
সম্প্রতি বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের নাম উদ্ধৃত করে মোবাইল ফোনে পাঠানো এক খুদেবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বার্তায় বলা হয় ২০২৪ সালে বাংলা বর্ণমালা থেকে ৭টি বর্ণ বাদ দেয়া হবে। মেসেজটি ছিল এরকম, “প্রিয় সুধী! আগামী ২০২৪ সালে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে তিনটি ঈ ঊ ঋ এবং বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে চারটি বর্ণ ঞ ণ ঢ় ৎ বাদ দেয়া হবে। সেলিনা হোসেন, সভাপতি, বাংলা একাডেমি”।
অথচ সেলিনা হোসেন কিংবা বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি কাউকে। এমনকি হয়নি এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত। তা হলে এ বার্তাটি ছড়াল কে বা কারা?
পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজে বের করেছে সেই গুজব ছড়িয়ে দেয়ার কারিগরকে। ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একটি মাদ্রাসায় দাখিলে অধ্যয়নরত আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেই চান এ সাতটি বর্ণ না থাকুক। তার মতে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। নিজেকে দার্শনিক দাবি করা মামুন নিজের নামে আগে ব্যবহার করেন ডক্টর্জ।
আর পুলিশ বলছে, বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়ানোই মামুনের কাজ ছিল। আর বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করার পরেও তারা কোনো মামলা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ মামলা করেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মশিউর রহমান সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, আমরা বহুবার বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এ বিষয়ে মামলা দিতে, কিন্তু তারা এ বিষয়টি নিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন; তারা মামলা দিতে রাজি হননি। এতে করে অন্য অপরাধীরাও উৎসাহী হতে পারে। আমরা বোধ করি, তাদের (বাংলা একাডেমি) কিছুটা দায়িত্ব নেয়া উচিত, বাদবাকি আমরা আমাদের তদন্তের মাধ্যমে কাজটি করব।
এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৬:৩২ ১৪৬ বার পঠিত