সিলেটে ইন্দো-বাংলা বসন্ত রাস উৎসব শেষ হলো। ভারতের মণিপুরের রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশের একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস (এমকা) সিলেটের যৌথ আয়োজনে বসন্ত রাস, মণিপুরী নটসংকীর্ত্তন, অরাংফম, মোইবুং ও পুজার মধ্য দিয়ে ১০ দিনব্যাপী নানা আয়োজন রোববার মধ্য রাতে শেষ হয়।
নগরীর মণিপুরী রাজবাড়ির শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মণ্ডপে আয়োজিত উৎসবের শেষ দিন শুভ অক্ষয়া তৃতীয়ার তিথিতে ১৩৩তম খোংজোম দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মণিপুর রাজ্যের সর্বশেষ স্বাধীনতা যুদ্ধে খোংজোম নদীর তীরে মেজর পাওনা ব্রজবাঁশিসহ বীর শহিদদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
‘ইন্দো-বাংলা বসন্ত রাস উৎসব-২০২৩’ ও ১৩৩তম খোংজোম্ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সিলেটের সহকারী হাইকমিশনার নীরাজ কুমার জায়সওয়াল।
দিগেন সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রমোদ রঞ্জন সিংহ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাশন হাউজ মাহা’র স্বত্বাধিকারী মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, ভারতের মণিপুর রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশনের স্পোকপারসন তাখেল্লম্বম ইরাবত সিংহ, চিফ অ্যাডভাইজর ব্রহ্মচারীময়ুম্ আমুসানা শর্ম্মা ও জেনারেল সেক্রেটারি মোইরাংথেম্ অশোক সিংহ।
আলোচনা সভার শুরুতেই সদ্যপ্রয়াত সিলেট মণিপুরী পঞ্চায়ের কীর্ত্তনীয়া দোহার এন ব্রজেন্দ্র সিংহের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন জি শান্তনা দেবী। বক্তব্য রাখেন উত্তম সিংহ রতন, সংগঠক ওয়াই, নৃপেন্দ্র সিংহ ও বিশিষ্ট নৃত্য প্রশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ ভারত থেকে আগত ৩৬ জন প্রতিনিধিকে এমকার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা দুটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সমেন্দ্র সিংহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৭:১০ ১৪৬ বার পঠিত