বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে দোল খাচ্ছে সবুজ ও হলুদ রঙের সোনালি ধান। ধানের ভারে গাছ নুয়ে পড়া ভাব। জমিতে ধান দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। মাঝে খণ্ড খণ্ড জমিতে গান গেয়ে ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষি শ্রমিকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে তুলনামূলক রোগবালাই কম হওয়ায় দিনাজপুরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানে পাক ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
বিঘাপ্রতি ২২-২৭ মণ পর্যন্ত ধান পাওয়া যাবে জানিয়ে কৃষক রফিকুল মিয়া বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এ বছর আশানুরূপ ধান হয়েছে। গত কয়েক বছরে এ রকম ধান আমরা পাইনি।’
ঝড়বৃষ্টি না হয়ে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই মাঠের সব ধান ঘরে তুলবে কৃষক। পর্যায়ক্রমে ধান পাকতে শুরু করায় ধান কাটার শ্রমিকের সংকট নেই।
কৃষক একাব্বর আলী বলেন, ‘ধান তো ভালো হয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় কি না? আমাদের দাবি, সরকার যেন ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে। কেউ যেন আমাদের ঠকানোর সুযোগ না পায়।’
ধানচাষি রমেশ কুণ্ডু বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ধান পাকায় এ বছর শ্রমিক সংকট নেই। আবহাওয়া ভালো আছে। আমরা ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছি।’
এদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, ‘সামনে ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যেসব জমির ধান ৮০ শতাংশ পাক ধরছে, সেসব জমির কৃষককে ধান কাটতে তাগিদ দিচ্ছি। চলতি মৌসুমে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।’
চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বোরো চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। যার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের ধান রয়েছে। বর্তমানে প্রতি মণ ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৮০-১০০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫০:২৩ ১৫৯ বার পঠিত