বন্দরে হুমায়ারা এন্ড মাহিয়া রোটর স্পিনিং মিলে দুঃসাহসিক চুরি ঘটনা ঘটেছে। ৮/১০ জনের একটি চোরের দল কৌশলে উল্লেখিত রোটর স্পিনিং মিলে প্রবেশ করে ৩টি বৈদুতিক ট্রান্সের্ফমা থেকে বিপুল পরিমান তামার কয়েল চুরি করে পালিয়ে যায়।
চুরি ঘটনার ওই রাতেই স্থানীয় জনতা মনার বাড়ি বিল থেকে দুই চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। আটককৃতরা হলো সাইফুল ইসলাম (২৯) বন্দর উপজেলার মনারবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে ও অপর আটকৃত ফারুক ওরফে বুলেট (২৪) বন্দর থানার কুড়িপাড়া এলাকার মৃত হাজী বেপারী ছেলে।
আটককৃতদের মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত সোমবার (৫ জুন) রাতে বন্দর থানার উত্তর লক্ষনখোলা কড়ইতলাস্থ হুমায়ারা এন্ড মাহিয়া রোটর স্পিনিং মিলে এ চুরি ঘটনা ঘটে।
ওই সময় স্থানীয় জনতা আটকৃতদের কাছ থেকে একটি স্টীলের তৈরি সেভেন গিয়ার চাকু ও অপর আটককৃত চোর ফারুক ওরফে বুলেটের দখল থেকে চোরাইকৃত ১টি ১০ ঘোড়া পানির মটর ও ১০পিছ বৈদুাতিক ট্রান্সের্ফমারের স্টীলের তৈরি কয়েল কোর, ১৪ পিছ বৈদুতিক ট্রান্সের্ফমারের স্টীলের তৈরি কোর ও ৭ পিছ বৈদুতিক ট্রান্সের্ফমারের স্টীলের তৈরি কয়েল কোর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সায়হাম বাদী হয়ে আটককৃত ২ চোরসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৯(৬)২৩ ধারা-৩৭৯/ ৪১১ পেনাল কোড ১৮৬০।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৫ জুন) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যে কোন সময়ে আটককৃত চোর সাইফুল ও ফারুক ওরফে বুলেটসহ রামনগর এলাকার মৃত আকবর ডাকাতের ছেলে মামুন ডাকাত একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে রিপন ও একই এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে আরিফসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন চোর কৌশলে মনার বাড়ি বিল দিয়ে হুমায়ারা এন্ড মাহিয়া রোটর স্পিনিং মিলে কৌশলে প্রবেশ করে।
পরে চোরের দল উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ১টি পানির মটর ও ৩টি বৈদুতিক ট্রান্সের্ফমার বিপুল পরিমান তামার কয়েল চুরি করে পালানোর চেষ্টা করে। চুরি বিষয়টি স্থানীয় জনতার নজরে আসলে ওই সময় জনতা চোরের দলকে ধাওয়া করে মনারবাড়ি মনার বাড়ি বিল থেকে একটি সেভেন গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত পানির মটর এবং বৈদুতিক ট্রান্সের্ফমার তামার কয়েলসহ উল্লেখিত ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও ডাকাত মামুনসহ চোরের দল কৌশলে পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৪:১৩ ১৭৯ বার পঠিত