মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করায় ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের আইনজীবীরা।
শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিএসইসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তাপসের আইনজীবীরা এ ঘোষণা দেন।
মেয়রের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, আনকন্ডিশনাল অ্যাপলজি চেয়ে বিবৃতি দেয়নি ডেইলি স্টার। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে। মামলাটি হবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে।
তিনি বলেন, গত ৫ জুন ডেইলি স্টারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশে বলা হয়, মেয়র তাপসকে নিয়ে মানহানিকর লেখা অনলাইন থেকে রিমুভ করতে হবে। একই সঙ্গে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ডেইলি স্টার অনলাইন থেকে ওই লেখা রিমুভ করেছে ঠিকই, কিন্তু তারা নিঃশর্ত ক্ষমা চায়নি। শুধু বলেছে, লেখার কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তারা দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ছাড়া ডেইলি স্টার তাদের লেখা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছে। শুধু দুঃখ প্রকাশ যথেষ্ট নয়। ডেইলি স্টারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনা না করলে ১৩ জুনের পর ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে। গত ৮ জুন এ লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেয় ডেইলি স্টার বলে জানান আইনজীবী।
সংবাদ সম্মেলনে তাপসের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব, ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাব্বী, ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ জুন মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ তিনজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নোটিশে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। অন্য দুজন হলেন: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও সংশ্লিষ্ট লেখক নাজিবা বাশার। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের পক্ষে ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এ নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা রিপোর্ট অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ জুন) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয় বলে বুধবার (৭ জুন) ফজলে নূর তাপসের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। অবিলম্বে বিতর্কিত রিপোর্টটি অনলাইন মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে বলা হয় নোটিশে। ‘বাতাস প্রভাবের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে’ শিরোনামে গত ১৩ মে একটি কার্টুনসহ রিপোর্ট প্রকাশ করে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৯:১৫ ১১৪ বার পঠিত