টাইটানিক দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনে অবশিষ্ট রয়েছে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » টাইটানিক দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনে অবশিষ্ট রয়েছে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন
মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩



টাইটানিক দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনে অবশিষ্ট রয়েছে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকবাহী একটি সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে। সাবমেরিনটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সাবমেরিনটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। মার্কিন কোস্ট গার্ডের অনুমান সাবমেরিনটিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগার বলেছেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন মজুত রয়েছে সাবমেরিনটিতে। যেখানে এর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন।’

রিয়ার অ্যাডমিরাল উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ে বলেন, দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন এবং সোনার বয়া নিখোঁজ সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে জড়িত রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান এলাকা তীর থেকে বেশ দূরে হওয়ায় অনুসন্ধান কঠিন হয়ে পড়েছে।

সমুদ্রের প্রায় ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ছোট আকারের সাবমেরিনে করে পর্যটকরা প্রায়ই সেখানে ওই ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেনগেট এক্সপিডিশন পর্যটকদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে থাকে।

ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। ৮দিনের ভ্রমণের জন্য একজন যাত্রীর কাছে থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে থাকেন প্রতিষ্ঠানটি।

ওশেনগেট এক্সপিডিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের একটি সাবমেরিন সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে আরও দুটি সাবমেরিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সাবমেরিনটিতে মাত্র পাঁচজন বসতে পারেন। এর মধ্যে তিনজন পর্যটক। বাকি দুজনের একজন সাবমেরিনের চালক ও অন্য আরেকজন কন্টেন্ট এক্সপার্ট। সমুদ্রতলে অবতরণ ও আরোহণে প্রায় আট ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়।

১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।

১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের অবস্থান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৬:৪৯   ১৫৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা, ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র
সীমান্তে গভীর রাতে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ
ভারতকে এবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় একদিনে নিহত ৮৪
সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের ফের পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়তদের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষ্যে সংবর্ধনার আয়োজন
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
কিয়েভে রাশিয়ার জোরালো হামলায় ‘খুশি নন’ ট্রাম্প

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ