ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় ভারতের মেয়েরা। এরপর টাইগ্রেসরা রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। ফলে আশা জাগিয়েও শিরোপা খোয়ালো লতা মন্ডলের দল।
বুধবার (২১ জুন) হংকংয়ের মং ককে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছে ভারতের মেয়েরা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগ্রেসরা। ফলে ৩১ রানের পরাজয়ে শিরোপার কাছে গিয়েও তরী ডোবাল বাংলাদেশের মেয়েরা।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধীরগতিতে রান তুলে প্রতিপক্ষরা। এক পর্যায়ে ১০৫ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হয়েছিল। তবে শেষ ১৪ বলে ২২ রান তুলে লড়াইয়ের স্কোর গড়ে ভারত। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় ভারতের মেয়েরা।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে দীনেশ বৃন্দার ব্যাট থেকে। এছাড়া কনিকা আহুজা ৩০, ইউ ছেত্রি ২২ ও শ্বেতা শেহরাওয়াত ১১ রান করেন। আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা পার করতে পারেনি।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার ও সুলতানা খাতুন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান সানজিদা আক্তার মেঘলা ও রাবেয়া খান।
ভারতের দেওয়া ১২৮ রান তাড়ায় ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার দিলারা আক্তারের উইকেট হারায় জুনিয়র টাইগ্রেসরা। ব্যক্তিগত ৫ রানে ভারতের বোলার মান্নাত কাশ্যপের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর পুরো ইনিংসে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাঝপথে ম্যাচ ভেসে যাওয়ার শঙ্কাও জাগলেও বৃষ্টি থামার পর বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় থামানো যায়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের ৪ বল আগেই মাত্র ৯৬ রানে গুঁটিয়ে গেছে লতা মন্ডলের দল।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন নাহিদা আক্তার। এছাড়া সোবহানা মোস্তারি ১৬ ও সাথী রানি ১৩ রান করেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। এছাড়া মান্নাত কাশ্যপের শিকার ৩টি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৫:০৩ ১১৮ বার পঠিত