সংসদ ভবন, ২১ জুন, ২০২৩ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের ৫০ হাজারেরও বেশি অবৈধ নদী দখলকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে সারাদেশে অবৈধ দখলদারের সমন্বিত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জেলাভিত্তিক দখলদারের তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ৫০ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের নদ-নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি এবং নদী ও খাল দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে সকল জেলা প্রশাসককে অবৈধ দখলদারের এই তালিকা অনুসারে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েক দফায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা নদীসহ বিভিন্ন নদীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীগুলো অনেকটা মুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকরা কমিশনে পাঠিয়েছেন। এছাড়াও, দেশের নদীগুলির নদীভিত্তিক অবৈধ দখলদার তালিকা ও উচ্ছেদ সংক্রান্ত অগ্রগতির তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৪৭টি জেলা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অবৈধ দখল ও উচ্ছেদের হালনাগাদ তথ্য রয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, জলাশয় ও জলাধারের অবৈধ দখল ও দূষণ রোধ, নাব্যতা পুনরুদ্ধার, পরিবেশ- প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা/অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর মাধ্যমে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর অগ্রগতি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে উপজেলা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহপূর্বক সারাদেশের নদ-নদীর একটি সমন্বিত তালিকা করা হয়েছে। এটি নদ-নদী সংরক্ষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩০:৪৪ ১২৩ বার পঠিত