বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে বাসায় ডেকে নিয়ে অচেতন করে রক্ত সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার মূলহোতা আব্দুল জলিলকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) নয়ন কারকুন।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে জলিলকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল জলিল পাবনার চাটমোহর থানার মৃত ইমান আলীর ছেলে। তিনি সাভারের থানা রোডে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তি বিভিন্নজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ওই ব্যক্তিদের কৌশলে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানেই অচেতন করে তাদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে মজুত করতেন। পরে সুযোগ বুঝে রক্তের ব্যাগ বিক্রি করতেন রাজধানীর বিভিন্ন ক্লিনিকে। এ চক্রের টার্গেট ছিল অভাব ও নেশাগ্রস্তরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযানে নামে। পরে পুলিশ গভীর রাতে জলিলকে তার ভাড়া বাসা থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছে থাকা ১০ ব্যাগ রক্ত ও রক্ত সংগ্রহের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
জলিল বলেন, রক্ততো জোর করে নেওয়া সম্ভব নয়, কৌশলেই নিতে হয়। আমি ভুল স্বীকার করেছি। এসব রক্ত রাজধানীর বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংক ও হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ টাকা ব্যাগ হিসেবে বিক্রি করতাম।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) নয়ন কারকুন বলেন, জলিলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৮:৫৬ ১১২ বার পঠিত