সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরুর অভিযোগে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি গ্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের প্রতিষ্ঠিত ওয়াগনার পিএমসি’র ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে তার চ্যানেল টেলিগ্রামে এ খবর প্রকাশ এবং জাতীয় সরকারের বিরুদ্ধে তিনি তার সমর্থকদের জেগে ওঠার আহ্বান জানানোর প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর তাস’র।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিমান হামলার খবর অস্বীকার করে বলেছে, ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন অবগত আছেন। তাকে মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
দ্য ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস(এফএসবি)’র প্রেস অফিস বলছে, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরে প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বৈধভাবেই এ মামলা শুরু করা হয়েছে এবং এটি ন্যায়সঙ্গত।
এ কারণে ওয়াগনার পিএমসি’র প্রতিষ্ঠাতার ১২ থেকে ২০ বছরের কারাদন্ড হতে পারে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধে লিপ্ত ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ। এর নেতা ৬২ বছর বয়সী ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধের কৌশল নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের সমালোচনা করে আসছেন।
তিনি শুক্রবার রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার দলের সৈন্যদের উপর বিমান হামলার অভিযোগ করেন।
ওয়াগনার প্রধান ঘোষণা দেন, তিনি যে কোন মূল্যে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। এরই মধ্যে তিনি ইউক্রেন থেকে সীমান্তবর্তী রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন এবং একটা রাশিয়ান হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছেন বলে দাবি করছেন।
এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে অজ্ঞাত প্রশাসনিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
সিএনএন বলছে, প্রিগোঝিনের বক্তব্য তার স্বাভাবিক বাগাড়াম্বরের চেয়েও বেশি কিছু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:১৩ ১১৮ বার পঠিত