মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহৎ মিলনমেলা পবিত্র হজ আজ (মঙ্গলবার)। সব ভেদাভেদ ভুলে শুধু দুই খণ্ড সাদা কাপড় শরীরে জড়িয়ে সবাই একত্রিত হয়েছেন আরাফার ময়দানে। সবার মুখে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনি।
সোমবার (২৬ জুন) দিনগত রাত থেকেই আরাফাত ময়দানে আসতে শুরু করেন হাজিরা। দিনের আলো ফোটার পর অনেকে হেঁটেও আসতে থাকেন।
এ বছর আরাফায় অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের সিনিয়র উলামা কাউন্সিলের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ। খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজিরা।
এরপর মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন তারা। রাতে সেখানে খোলা মাঠে অবস্থান করবেন। পরদিন মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় শয়তানের উদ্দেশ্যে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দেবেন হাজিরা। কোরবানির পর হাজিরা মাথার চুল ছেঁটে গোসল করবেন। পরে সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন।
এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাত বার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার দৌড়াবেন হাজিরা। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, ততদিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর মারবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও এ বছর হজ করছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজযাত্রী।