মরিচের লাগামহীন বাজার নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মরিচের আড়তে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সোমবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীতে এ অভিযান পরিচালনা শুরু করে ভোক্তা অধিকার।
বেশ কয়েকদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা কাঁচা মরিচের বাজার এখন কিছুটা নিম্নমুখী। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি কার্যক্রম পরিচলনা করতে রাজধানীতে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ সময় ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক মাসুম আরেফিন বলেন, রাজধানীতে একযোগে বাজার তদারকিতে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ৩টি টিম।
তিনি আরও বলেন,
সিন্ডিকেটহীন কাঁচা মরিচের বাজার চলছে; স্বাভাবিক বাজারের নিয়মেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সব সংস্থা কাজ করছে। হয়তো তদারকি কার্যক্রমের বিষয়টি মিডিয়ায় আসেনি।
এদিকে ভারতীয় মরিচের আমদানি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম।
সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১৭০ থেকে ২২০ টাকা কমে পাইকারি পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২২০ টাকায়। কেজিতে দাম কমেছে অন্তত ২৪০ টাকা। আর গতকাল মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসতে শুরু করায়, বাজারে মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে দাম।
নাজমুল হক নামে এক বিক্রেতা বলেন,
ভারত থেকে আরও আগে মরিচ আমদানি শুরু করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে দাম এত বাড়ত না। এখন মরিচ আসছে; দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
আলামিন নামে এক ক্রেতা জানান, মরিচের দাম কমতে শুরু করায় বাজরে স্বস্তি ফিরেছে। দাম আরও কমানো উচিত।
এদিকে ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে দুদিন আমদানির পর ঈদের কারণে বন্ধ ছিল মরিচ আমদানি। তবে ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২ জুলাই) থেকে আবারও দেশে আসছে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৫ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে। এ ছাড়া ২৫ জুন থেকে রোববার (২ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত দেশে ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে দেশে এসেছে মোট ৯৩ টন আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৩:৩৫ ১০৭ বার পঠিত