২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফের বিধান রেখে সংসদে ভূমি উন্নয়ন কর বিল, ২০২৩ উত্থাপন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফের বিধান রেখে সংসদে ভূমি উন্নয়ন কর বিল, ২০২৩ উত্থাপন
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩



২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফের বিধান রেখে সংসদে ভূমি উন্নয়ন কর বিল, ২০২৩ উত্থাপন

সংসদ ভবন, ৬ জুলাই, ২০২৩ : পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের বিধান আজ জাতীয় সংসদে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
তবে বিলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ওই কর আদায় করা হবে।
নতুন করে ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য, কর ফাঁকি ও আদায়ে কোন অনিয়ম প্রতিরোধ করতে আজ জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিলের ওপর আপত্তি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম। সেই আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে দেন।
বিলটি উত্থাপনকালে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ শীর্ষক আইনে জনস্বার্থে ২৩টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এছাড়াও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদি সংজ্ঞাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ রাখার বিধান রয়েছে এবং অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার সরকার সময় সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে জনগণের সুবিধার্থে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য জুলাই-জুন অর্থাৎ অর্থবছরকে কর বৎসর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে পহেলা জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।
সংসদে উত্থাপিত বিলে কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। জেলা কালেক্টর (ডিসি) তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।
প্রস্তাবিত আইনে প্রজ্ঞাপন দিয়ে মহামারী, দুর্বিপাক ইত্যাদি বিশেষ সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলের বিধান অনুযায়ী, কোনো ভূমির মালিক টানা ৩ বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে তাকে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৫:৩৬   ১৪০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ
সোনারগাঁয়ে পুলিশের অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী আটক
জামালপুরে বিএনপি নেতার তান্ডবে এক অসহায় পরিবার ঘরছাড়া
ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল পরিদর্শনে ডিসি
শেষ মুহূর্তের গোলে ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না: চেয়ারম্যান
নির্বাচন, সংস্কার নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে: মির্জা ফখরুল
স্থানীয় নির্বাচন দ্রুত প্রয়োজন: তোফায়েল আহমেদ
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে - পরিবেশ উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ