এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশি কাঁচা মরিচের দাম। কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে, যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছিল ২৬০ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা দরে।
তবে আদা, রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ৩০০ টাকা, ভারতীয় আদা ২৭০ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। ভারত থেকে বেশি পরিমাণ আমদানি হলে আরও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
হিলির কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা সুলতান মাহমুদ বলেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ এবং পেঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও কাঁচা মরিচের দাম অনেকটাই বেশি। ১০০ টাকার নিচে হলে সাধারণ ক্রেতাদের অনেকটাই সুবিধা হতো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ঈদের আগে আমরা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছে। এসব পণ্যের দাম এখন অনেকটাই কমে গেছে। তবে রসুনের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি কম হওয়ার কারণে বেড়েছে দাম। ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলে সব নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০ টাকা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা দরে। যদি ভারতীয় কাঁচা মরিচ হিলির খুচরা বাজারে বিক্রি হতো তাহলে প্রতি কেজি ১০০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৯:২১ ১১৫ বার পঠিত