জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কয়েকটি নদ নদীর পানি সামান্য কমলেও এখনও ধরলা ও দুধকুমারের পানি বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। জেলার ৬টি উপজেলার দেড় শতাধিক চরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গত ৩/৪দিন ধরে বন্যায় প্লাবিতরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বাড়ির ভিতরে পানি ওঠায় তারা ঠিকমতো রান্নাবান্না করতে পারছে না। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে বন্যাকবলিত এসব পরিবার। দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ ঘরের ভেতর চকি উঁচু করে অবস্থান নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ইতিমধ্যে ৬৫ মেট্রিক.টন চাল উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫৮৫ মেটিক ্র.টন চাল, ১০লক্ষ টাকা ও ১হাজার ৭শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের তালিকা করা হচ্ছে। এছাড়াও শুক্রবার বন্যা কবলিত ৮শতাধিক পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৫:৩০ ৯৮ বার পঠিত