জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ মুরাদ হাসান এমপির পিতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য ও জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রয়াত এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারের ১৫তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের আয়োজনে রোববার (১৬ জুলাই) সকাল হতে কালোব্যাচ ধারণ এবং মরহুমের সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও মরহুমের কবর জিয়ারত সহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী কোরআনখানী,এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ, মরহুমের নিজবাড়ি আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মরহুমের কবর জিয়ারত ও সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পনে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও সামাজিক বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মতিয়র রহমান তালুকদারের কনিষ্ঠ সন্তান সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডা. মুরাদ হাসান এমপি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার জেলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুলু,
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক,এডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর কালাচাঁদ পাল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম ও সাখাওয়াত আলম মুকুল সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও দলের অঙ্গ ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মরহুমের সহকর্মী ও সহমর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নীতি ও মুজিব আদর্শে ছিলেন অটুট। রাজনীতি অঙ্গন ছাড়াও সামাজিক সংগঠনেও ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন, সরিষাবাড়ী কল্যাণ ও অন্ধ কল্যাণ সমিতির সভাপতি। জামালপুর মহকুমা রেডক্রিসেন্টের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি দীর্ঘদিন।
তার ছিলনা কোন লোভ-লালসা। তিনি মৃত্যুর মুখে দাড়িয়েও দলের সাথে বেঈমানি করেননি। কাউকে মেরে ফেলেছে, কাউকে জেলে ভরে দিয়েছে। আবার কাউকে দেশান্তর হতে বাধ্য করেছে। সেই তালিকায় ছিলেন মতিউর রহমানও। তবুও তিনি মুজিব আদর্শের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেননি। বরং তাকেও কারাবরণ করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেই দুঃসময়ে তিনি জীবনের মায়ায় আত্মগোপন করেননি।
বরং পায়ে হেঁটে, সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। সাহস যোগিয়েছেন ভীতসন্ত্রস্ত নেতাকর্মীদের। প্রতিবাদ, প্রতিরোধে নিজে সামনে সারিতে থেকে জানান দিয়েছেন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই অনেকটা অভিমান নিয়েই এই অসাম্প্রদায়িক, মুক্তচিন্তার অধিকারী, বীর সেনা নিজের দল, দেশ ও স্বজনদের ছেড়ে এই মানুষটি চিরতরে চলে গিয়েছেন।
তাই দল ও দেশের জন্য অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান এ কৃতি সন্তানের নামে সরিষাবাড়ির একটি রেলওয়ের স্টেশনের নামকরণ করেছেন বলে অবিস্মরণীয় দৃশ্যমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০২:০৮ ২৫১ বার পঠিত