ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, যুবরাই জাতির প্রধান চালিকাশক্তি। তাই দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উৎপাদনে যুবদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুব সমাজকে পরিবেশবান্ধব কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
তিনি আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যুবকল্যাণ তহবিল থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য নির্বাচিত ৬৪ জেলার সর্বোত্তম যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি ৬৪ জেলার সর্বোত্তম যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে চেক বিতরণ করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী মোস্তাক জহির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আজহারুল ইসলাম খান এবং ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
‘এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত বঞ্চিত মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন বলেই কর্মঠ যুব সমাজ গঠনের মত বাস্তবধর্মী চিন্তা করতে পেরেছিলেন।
স্পীকার বলেন, যুব উন্নয়ন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্সও সরবরাহ করতে হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ যুবকদের কর্মে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন অনুদান প্রদান করে আসছেন এবং এ লক্ষ্যে অত্যন্ত সুনিপণভাবে বাজেটও প্রনয়ণ করা হচ্ছে।
স্পীকার বলেন, ৯০০টি যুব সংগঠনের মধ্যে ৪৫৮টি নারী সংগঠনসহ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের সংগঠনকেও অনুদান দেওয়া হচ্ছে, যা একটি অনন্য উদ্যোগ। তিনি বলেন, পাঁচ কোটি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর এই মানবসম্পদকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন নারী পুরুষ একইসাথে অগ্রসর হতে পারে। তাহলেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের সম্পূর্ণ সুবিধা নিতে সক্ষম হব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড অতিমারীতে যারা সমাজে ভলান্টারি সেবা দিয়েছেন তাদেরকে ২০২২ সালে ‘শেখ হাসিনা ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রধান করা হয়েছে এবং ভলান্টিয়ার সার্ভিসের জন্য পুরস্কার প্রদান এখনও চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউট’ এর ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে যুবদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, যুবকল্যাণ তহবিল থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য নির্বাচিত ৯০০টি যুব সংগঠনকে মোট ৩,৬৬,৪০,০০০/- (তিন কোটি ছেষট্টি লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকার প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদান করা হয়।
এ সময় যুব কল্যাণ তহবিলের কার্যক্রমের ওপর একটি অডিও ভিজ্যুুয়াল প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পীকারকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ বিশেষ প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য স্পীকার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই এমপি, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব ড. মো. আব্দুল করিম, বিকেএসপির মহাপরিচালক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশের ৬৪ জেলা থেকে আগত যুব সংগঠক ও প্রতিনিধিবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫২:৩৩ ১২৬ বার পঠিত