পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। সরকার মন্ট্রিলে গৃহীত কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের জাতীয় জীববৈচিত্র্য কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা (NBSAP) আপডেট করার জন্য কাজ করছে। সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০, আপডেট করা NDC ২০২১, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ তৈরি করেছে যা জলাভূমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার এবং তাদের বাস্তুতন্ত্রের ব্যবহারকে উন্নীত করার ওপর জোর দেয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন ইন দ্যা কনটেক্সট অব ক্লাইমেট অ্যান্ড আদার ভালনারেবিলিটি” বিষয়ক কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স-বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) কর্মশালার উদ্বোধন অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার দশক ২০২১-২০৩০ এ জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য সকল দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের অবশ্যই টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নীতি এবং অনুশীলনগুলি প্রচার করতে হবে যা পানির গুণমান উন্নত করতে, দূষণ কমাতে, আগ্রাসি বিদেশি প্রজাতির প্রতিরোধ এবং পরিচালনা করতে, স্বাদু পানির প্রজাতিগুলিকে টেকসই ব্যবহার করতে এবং মিঠাপানির ব্যবস্থার সংযোগ রক্ষা করতে জলাভূমির অবক্ষয়ের চালকদের মোকাবিলা করে৷
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
তুরস্ক, থাইল্যান্ড, কিরগিজস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন সিআইসিএ দেশের প্রতিনিধিত্বকারী নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা এ কার্যশালায় ভার্চ্যুয়ালি যোগদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪২:০৮ ১০৩ বার পঠিত