স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যতম স্তর ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য আইন ও বিধিমালাতে সংশোধন এনেছেন। জেলা পরিষদের সদস্যদের স্থানীয় জনগণের সমস্যার সমাধানের পথ এতে সুগম হয়েছে। জেলা পরিষদের প্রত্যেকটি সদস্যই স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাথে দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আজ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়াম, ঢাকায় বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স এসোসিয়েশনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বারস এসোসিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা তাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
জেলা পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ দিয়ে শুনে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সকল সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা না গেলেও স্থানীয় সরকার বিভাগ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। ভুলে গেলে চলবে না আপনারা জনপ্রতিনিধি, জনগণের সমস্যার সমাধানের জন্যই আপনারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ সময় মন্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্যদেরকে অন্যান্যদের মাঝে দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির চেয়েও দেশের কল্যাণে কতটুকু কাজ করতে পারছি সেটাই আমাদের চিন্তা হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে ধারায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন তাতে ধীরে ধীরে জেলা পরিষদের সদস্যদের আরো ক্ষমতায়ন করা হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তবে সবকিছুর উপর জনগণের কল্যাণকেই আপনাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা পরিষদ একসময় নিষ্ক্রিয় ছিল এখন তাকে সক্রিয় করা হয়েছে। এতে সুযোগ-সুবিধার বিভিন্ন ঘাটতি এখন আমাদের নজরে আসছে, চেষ্টা করা হবে সব সমস্যারই আস্তে আস্তে সমাধান করার জন্য। এতে অধৈর্য হলে চলবে না।
এ সময় জেলা পরিষদের সদস্যদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে জেলা পরিষদের সকল সদস্যকে একযোগে কাজ করতে হবে কারণ বিএনপি-জামাত দেশে আন্দোলনের নামে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কলুষিত করার সমস্ত দায়ভার বিএনপির।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী বলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি অত্যন্ত দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন। জেলা পরিষদের সদস্যদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই তিনি ধীরে ধীরে সমাধান করবেন এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে সমস্ত সহযোগিতা করা হবে।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আমিনুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া, সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি. এম তৌফিক ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৪:৫২ ১২৫ বার পঠিত