একজন বিচারপতি অসুস্থ হওয়ায় ২৯০ সংসদ সদস্যের (এমপি) শপথের বৈধতা নিয়ে আপিল শুনানি পেছানো হয়েছে। আজ (রোববার, ৩০ জুলাই) সকালে এ শুনানি হওয়ার কথা ছিলো।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। পরে রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চ।
তবে এদিন আদালতে গিয়ে জানা যায়, একজন বিচারপতি অসুস্থ হওয়ায় আজ শুনানি হবে না। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে না দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশের জবাব না পেয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন একটি রিট দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্টের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ বলেছিলো, ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার দিন থেকে সংসদ সদস্যরা কার্যভার গ্রহণ করে থাকেন। ফলে আগে শপথ নিলেও তাতে সংবিধান বা আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি। ফলে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
চার বছর পর গত ১১ জুন রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
পরদিন অর্থাৎ ১২ জুন আপিল শুনানির জন্য ২৭ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ জন্য সংসদ সদস্য ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ নেন। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। নির্বাচিত ব্যক্তিরা ওই বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
‘সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর। তাই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শপথ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে ওই সময়ে দেশে ডাবল সংসদ সদস্য হয়ে গেছে। কেননা শপথের পরই দায়িত্ব গ্রহণ কার্যকর হয়ে যায়, যা সংবিধান পরিপন্থি।’
বাংলাদেশ সময়: ১২:০২:১৭ ১৪৩ বার পঠিত