এখন থেকে প্রতিবছরই হবে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট- এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে রোববার (৩০ জুলাই) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ সামিট ২০২৩।’
রোববার (৩০ জুলাই) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন।
সামিটে ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজিং পোর্টাল ও ভবিষ্যতের উদ্যোক্তাদের জন্য কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড ও স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলেটর উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়াও দেশের শীর্ষ স্টার্টআপদের সেবা প্রদর্শন এবং ফিনটেক, এডটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক নিয়ে দুই দিনে ৪০টি সেশন অনুষ্ঠিত হয় এবং ইয়্যুথ কো ল্যাব স্টার্টআপ বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইয়্যুথ কো-ল্যাব চ্যাম্পিয়ন হয় পালকি মোটরস, প্রথম রানারআপ হয় ড্রিম ওয়াটার এবং সেকেন্ড রানারআপ হয়েছে উই গ্রো। উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সালমান এফ রহমান ও জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, স্টার্টআপদের পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত না হয়েও বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তির সুবিধা নিশ্চিত করে। আর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করে অর্জিত আয় দেশে নিতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, সাধারণত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। প্রকৃতপক্ষে এই ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এটাতো বৈধ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তরা ডেভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইনের সুযোগ পান বলেও তিনি জানান।
ফান্ড অব ফান্ডে বাংলাদেশি কর্পোরেট ও বিদেশিরাও বিনিয়োগ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি আইসটি বিভাগকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আগামী বছর থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট করা হবে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া স্টার্টআপ ব্রিজ, কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড এবং স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলেটর উদ্বোধন করেছেন। এসব ঘোষণা দিয়ে তিনি স্টার্টআপদের এগিয়ে নিয়েছেন। আমাদের তরুণরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে বেশ ভালো করছে। আমরা পুল অব ট্যালেন্ট তৈরিতে মনোযোগী হয়েছি। স্টার্টআপরাই হবে দেশের স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ জানান, প্রথমবারের মতো করা হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে ৭২ জন বিনিয়োগকারী, ৩ হাজার উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন এ সামিটে। তারা আমাদের তরুণদের সম্ভাবনা দিয়েছেন। আশা করি আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪:৪৪ ১১৪ বার পঠিত