বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে হত্যা করেছে ইলিয়াস (৩০) পাহলান নামের এক ব্যক্তি ।
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার সকালে তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াসের বাড়ি বরগুনা সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের খেজুর তলা আবাসন এলাকায়।
নিহত দুই শিশু হলো- প্রতিবেশি গোলাম খবিরের ছেলে হাফিজুল (১৩) ও ভূক্তভোগি ওই নারীর কন্যা তাইফা (৩)।
জানাগেছে,বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে শ্যালিকাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামের বাসায় যায় বড় বোনজামাই ইলিয়াস। এ সময় শ্যালিকা ধর্ষণে বাঁধা দিলে ইলিয়াস ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপানো শুরু করে। এ সময় শ্যালিকার সাথে থাকা প্রতিবেশী শিশু হাফিজুল (১৩) ও শ্যালিকার মেয়ে তাইফা (৩) নিহত হয়। গুরুতর আহত হন শ্যালিকা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আজ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার শ্যালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে দুলাভাই ইলিয়াস উত্ত্যক্ত করে আসছিল।বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে শ্যালিকা তার শিশুকন্যা ও প্রতিবেশীর শিশুকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। গভীর রাতে ওই ঘরে ঢুকে ইলিয়াস জোরপূর্বক শ্যালিকাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এতে ভুক্তভোগী নারী বাঁধা দিলে ইলিয়াস ঘরে থাকা দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এলে দুই শিশুকেও কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই শিশু হাফিজুলের মৃত্যু হয় এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু তাইফাও মারা যায়। গুরুতর আহত ভুক্তভোগী নারী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত ইলিয়াস পহলানকে ঘটনাস্থল থেকে আমরা আটক করেছি। গুরুতর আহত শ্যালিকাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩১:৩১ ১৩০ বার পঠিত