তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি ও ছয় সুপারিশ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি ও ছয় সুপারিশ
সোমবার, ৭ আগস্ট ২০২৩



তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি ও ছয় সুপারিশ

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তামাক নিয়ন্ত্রণে সংশোধিত আইন ফের সংশোধনের দাবি উঠেছে। এছাড়া আইনটি আরও শক্তিশালী করতে ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে।

রোববার (৬ আগস্ট) রাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘তামাক ও অসংক্রামক রোগ: তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী আসন্ন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন ও অনুমোদনের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

ছয়টি সুপারিশ হলো-

১. আইনের ধারা ৪ ও ৭ বিলুপ্ত করা। অর্থাৎ সকল পাবলিক প্লেসে প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা।

২. তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা।

৩. তামাক কোম্পানির যে কোনও সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

৪. তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেতে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

৫. বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন ও খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা।

৬. ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং ট্যোব্যাকো পণ্য পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

সেমিনারের প্রধান অতিথি গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিউবেটরের (ইউএসএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট বন্দনা সাহ বলেন, বিশ্বে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিবছর প্রায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষ মারা যান। তামাকের এই ক্ষতিকর দিক থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এফসিটিসি প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশ এটির অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ।

তবু বাংলাদেশের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিতে কিছু দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। সেগুলোকে চিহ্নিত করে আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন। এতে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার কমে আসবে।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, আমাদের দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। আর তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত সংশোধনীটি আসন্ন সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে পাশ করে চূড়ান্ত করা হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়ালের (রিজভী) সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী ও সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা ডা. মোশাররফ হোসেন মুক্ত।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সন্ধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিটের অর্থ সম্পাদক নাঈম হাসান অতুল ও সন্ধানী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তাইয়্যেবাহ্ বিনতে রফিক রীম।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, হৃদরোগ বিষেশজ্ঞ ও সন্ধানী চক্ষুদান সমিতির সদস্য অধ্যাপক ডা. দীপল কৃষ্ণ অধিকারী, সন্ধানীর বিভিন্ন ইউনিটের তরুণ চিকিৎসকসহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫, ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৪:০৩   ২৩১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


বন্দরে সরকারি অফিসে ডাকাতি: নরসিংদী থেকে আটক রুবেল
সিদ্ধিরগঞ্জে বালুর মাঠে থেকে বিদ্যুৎমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে যুবক আটক, ৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
সরিষাবাড়ী থানার ওসির সহযোগিতায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে ফিরে পেলেন মা
দেশের মানুষ হাসিনার দৃশ্যমান বিচার ও সংস্কার দেখতে চায় : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
জাফরুল্লাহ চৌধুরী তরুণদের কাছে অক্ষয় ও অমর হয়ে থাকবেন : ফারুক-ই-আজম
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এনফ্রেল প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি : ঋতুপর্ণা
সাজানো নির্বাচনে জিতেছিলেন সাকিব: প্রেস সচিব

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ