জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তা অর্ধনমিত করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট শাহদতবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এরপর সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার।
হাইকমিশনার শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বিশেষ বাণী উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে পাঠ করে শোনান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনী নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
হাইকমিশনার গর্বের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতা হারানোর অপরিসীম শোক থেকে প্রেরণা নিয়ে অদম্য শক্তির সন্ধান পেয়েছেন এবং তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও প্রবল দূরদর্শিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১২:৩৫ ৩২৫ বার পঠিত