জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপিং ও কোন্দলের কারণে জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগষ্ট) বিচ্ছিন্নভাবে পালিত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এবং সাম্প্রতিক গড়া দুটি কার্যালয় থাকা সত্ত্বেও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার কারণে আজ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় শূন্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে শহর হতে দূরে বাউসী পপুলার মুক্তিযোদ্ধা সরণীতে। আর এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে সাধারণ জনতা সহ আওয়ামীলীগ রাজনীতিক অঙ্গনে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর দলীয় কোন্দল আরো বেড়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও কলঙ্কিত করেছে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু স্বাধীনতা চেতনা বিরোধী ও স্বার্থন্বেষী নামধারী নেতা। যাদের অপকর্মে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্তি। যারা দলকে ব্যবসায়ী রূপে রূপান্তরিত করে কমিটিতে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি’র নামধারী ক্যাডার ও ডোনারদের সম্পৃক্ত করেছে এবং দলীয় সমর্থক ও পরিবার কেন্দ্রিক ব্যক্তিদের বেছে নিয়ে বিভিন্ন পদে ও সদস্য পদে নিযুক্ত করেছে তারাই আজকে বিচ্ছিন্ন জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য দায়ী।
এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ মুরাদ হাসান এমপিকে উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন পদে না রাখার কারণ হিসেবে তিনি জানান, তার কৃতকর্মের জন্য তিনি নিজেই দায়ী।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় পুরাতন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শোক দিবস উদযাপন করে। পরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত প্রোগ্রামে তিনি যোগদান করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আরেক অঙ্গ সংগঠন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা নেতৃত্বে গড়া অস্থায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় বাদ দিয়ে সকল নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীদের নিয়ে বাউসী পপুলারে মুক্তিযোদ্ধা স্মরণীতে গিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করে।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা জানান,গত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমি ঘোষনা করেছিলাম ২৬ মার্চের আগে দলীয় কার্যালয় না দিতে পারলে আমি পদত্যাগ করবো। এ কথার ভিত্তিতে আমি দলীয় কার্যালয় বাস্তবায়ন ঠিকই করেছি। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন এক নেতার দলীয় কার্যালয় পছন্দ না হওয়ায় আমরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আজ দলীয় ঘর বাড়ী ছাড়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০১:৩৩ ২৩০ বার পঠিত