নিজের ইচ্ছাতেই বেন স্টোকস ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেছেন উল্লেখ করে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জশ বলেন, তাকে ফেরাতে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেছে । কিন্তু জোর করা হয়নি। নিজের ইচ্ছাতেই ওয়ানডে দলে ফিরেছেন স্টোকস। উল্লেখ্য. বিশ^কাপকে সামনে রেখে অবসর ভেঙ্গে আবারও ইংল্যান্ড ওয়ানডে দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
তিন ফরম্যাটে খেলার চাপ ও হাঁটুর ইনজুরির কারনে গেল বছরের জুলাইয়ে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়ক স্টোকস। হাঁটুর ইনজুরির কারনে সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের শেষ তিন টেস্টে বোলিংই করতে পারেননি স্টোকস।
অ্যাশেজ শেষে স্টোকসকে দলে ফেরানো ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের কোচ ম্যাথু মট। ইংল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলকে মট বলেছিলেন, স্টোকসের সাথে আলোচনা করবেন অধিনায়ক বাটলার। স্টোকস বোলিং না করলেও, বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবেও খেলতে পারবে ।
এর কিছুদিনের মধ্যে অবসর ভেঙ্গে ওয়ানডে দলে ফিরেন স্টোকস। আগামী মাসে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও বিশ^কাপের জন্য প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছে ৩২ বছর বয়সী স্টোকসকে।
ইংল্যান্ডের সাবেক খেলোড়দের অনেকেরই ধারনা স্টোকসকে ফেরানোর পেছনে অবদান আছে বাটলার-মটের। কিন্তু স্টোকসের ফেরার ঘটনায় উল্টো কথা শোনালেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা বেনের (স্টোকস) সিদ্ধান্ত ছিল। আপনারা সবাই বেশ ভালোভাবেই বেনকে চেনেন। আমার মনে হয় না ইচ্ছে না থাকলে তার সাথে কথা বলে কেউ তাকে রাজি করাতে পারবে।’
বাটলার আরও বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছুদিন আগে কথা হয়েছিল। সে ফিরতে চায় কি না সেটি তার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। সে ফেরারয় আমরা খুশি এবং যেকোন সময় তাকে স্বাগত জানানোটা দারুণ ব্যাপার।’
দীর্ঘদিনের পরিচয়ে স্টোকস সর্ম্পকে বাটলার জানান, ব্যক্তিগত সিদ্বান্তগুলো নিজে নিতেই পছন্দ করেন স্টোকস। দলে ফেরার বিষয়ে জোর করা হলে হিতে বিপরীত হতো। বাটলার বলেন, ‘
‘বেন নিজের মতো কাজ করে ও নিজেই সিদ্বান্ত নেয়। তার সাথে অনেক দিন খেলেছি, আমি তার ভালো বন্ধু। তাকে বিরক্ত করে আমি বারবার ‘ফিরে এসো, ফিরে এসো’ বলতাম, তাহলে বেনের ক্ষেত্রে এটিতে কাজ করতো না। তার নিজের মন মতো সিদ্ধান্ত সে নিজেই নেয়।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ১০৫ ওয়ানডেতে ৩টি সেঞ্চুরি ও ২১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৯২৪ রান করেছেন স্টোকস। বল হাতে আছে ৭৪ উইকেট। পরিসংখ্যান আহামরি কিছু না হলেও, বড় ম্যাচের খেলোয়াড় হিসেবে গত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই প্রমান দিয়েছেন স্টোকস।
ঘরের মাঠে ২০১৯ সালে বিশ^কাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়ে বড় অবদান ছিলো স্টোকসের। গেল বছর টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ জয়েও অবদান রেখেছেন তিনি। এজন্যই দলে স্টোকসের প্রয়োজন কতটুকু, সেটিও বুঝিয়ে দিয়েছেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘স্টোকস দলে কি নিয়ে এসেছে, সেটি আপনাদের বলতে হবে বলে আমি প্রয়োজন মনে করি না। স্টোকসকে পাওয়াটা দারুন কিছু। তার মানের খেলোয়াড় পাওয়াটা দারুন হয়। আমরা তাকে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি।’
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে ইংল্যান্ড। ঐ সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে প্রত্যাবর্তন ঘটবে স্টোকসের। এরপর বিশ^কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করবে ইংল্যান্ড। ৫ অক্টোবর বিশ^কাপের প্রথম দিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে ইংলিশরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩০:৫৩ ৯৬ বার পঠিত