স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারাটি জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকৃত্রিমভাবে বাংলার মানুষকে ভালবেসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টের ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলার বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়নি। তবে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছেন।
তিনি আজ ঢাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, এমপি। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ রাশেদুল হাসান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সরোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যত অর্জন তার সবই সম্ভব হয়েছে কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নতি দেখে পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন উচ্চতায় নিয়েছেন যে পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ এর তথ্য দ্বারাও এই ধারণা প্রমাণিত।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মহিমায় বিশ্বের যে কোন মহান নেতার কাতারে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল। আমরা গর্বিত এরকম একজন মহান নেতাকে আমরা পেয়েছিলাম যিনি আমাদের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যিনি আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ভালোভাবে উন্নত জীবন গড়ার এবং মুক্তভাবে প্রাণখুলে বেঁচে থাকার স্বাদ নিতে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ যেখানে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছিলেন। দেশকে তিনি যখন ধীরে ধীরে সঠিক পথে পরিচালনা করা শুরু করেছিলেন তখনই চক্রান্তকারী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশের মানুষের জীবন উন্নত হত।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের মাত্র এক বছরের মাথায় আমাদের যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন তা আজও অনুসরনীয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে ২১ আগষ্টের মতো নির্মম ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের পরও বিএনপি সেই ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার করে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অধরাই থেকে যেত। বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি স্তরেই সংগ্রামে পরিপূর্ণ উল্লেখ করে মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, আজীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট এর সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৪:১৮ ১০০ বার পঠিত