আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট না ঘটালে এই দেশে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির সৃষ্টি হতো না। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের রাজনীতির বিস্তার ঘটত না।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বরিশাল বিভাগ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসন, খুনিদের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনে পদায়ন, তাদের দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন, খুনি ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দিয়ে বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে সব ধরনের চেষ্টা ছিল জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয় যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ব্যক্তি কিংবা পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে এই দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়াই ছিল ঘাতকদের মূল লক্ষ্য।
বরিশাল বিভাগ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মতিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মু. মাহবুব হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব
মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪১:১৭ ১১০ বার পঠিত