এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে ৫৫ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর ২৬ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫৯৩ জনের তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন মারা গেছেন চলতি মাসের প্রথম তিন দিনে। মৃতদের বড় অংশ কর্মক্ষম ও নারী। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে পুরুষ রোগীর মধ্যে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ এবং নারী রোগীর মধ্যে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৪২ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর এলে গুরুত্ব না দেওয়া এবং দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি রোগী ব্যবস্থাপনায় ঘাটতিও প্রভাব ফেলছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও সবাই চিকিৎসার আওতায় আসছে না। হাসপাতালে রেখে সব ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের জটিল উপসর্গ না থাকায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা মৃত্যুর বড় কারণ। রোগী শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি মারা যাচ্ছেন। রোগীরা ডেঙ্গু হলে ভাবেন, কাল-পরশু হাসপাতালে যাব। অনেকে নিজেই পাড়ার দোকান থেকে ওষুধ কিনে খান। এর মধ্যে রোগী শকে চলে যান। সেজন্য মৃত্যু বাড়ছে। জ্বর হলে কেউ একদিনও দেরি না করে টেস্ট করে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেন– এটাই আমাদের অনুরোধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪১:১১ ১২৩ বার পঠিত