তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হাট ভেঙে গেছে, নেতাদের দম ফুরিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের ওপর ভর করা বিএনপি যে কখন কবিরাজদের কাছে যায়, সেটাই দেখার বিষয়।’
আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শান্তি সমাবেশ আয়োজনের কারণ তুলে ধরে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের মিত্রদের নিয়ে দেশে অশান্তি-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। তারা আবার ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো আগুনসন্ত্রাস, মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দেওয়ার অজুহাত তৈরির জন্য আন্দোলন-আন্দোলন খেলা খেলছে। সে কারণে সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে দেশে-সমাজে, শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে কেউ যাতে
শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে সে জন্য জনগণের পাশে থাকার। এ জন্যই আমাদের শান্তি সমাবেশ।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে বিএনপি নয়াপল্টনে তাদের পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় সমাবেশের গোঁ ধরেছিল, রাস্তায় নাশকতা শুরু করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় গুলশানের বাসায় থাকা দন্ডিত বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশেই নাকি ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে বলেছিল। এরপর তাদের অফিস থেকে পুলিশ তাজা বোমা, দুই হাজারের বেশি পানির বোতল, বস্তা বস্তা চাল-ডাল উদ্ধারের পর তারা গেল গোলাপবাগ গরুর হাটে সমাবেশ করতে। তারপর থেকে তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় আর প্রতি মাসেই বলে আওয়ামী লীগের দিন নাকি শেষ। এই করতে করতে তাদের আন্দোলনের হাট এখন ভেঙে গেছে, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ নেতাদের দম ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থামেনি, নির্বাচন ভন্ডুলের চক্রান্ত থামেনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন তিনি গ্রেফতারের আশংকায় আছেন। আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে চাই না। কিন্তু ‘চোরের মনে পুলিশ পুলিশ’। তিনি যদি নাশকতা, হামলা বা কোনো অপরাধের পরিকল্পনা করেন, তাহলে নিজেই আশংকা করতে পারেন। কারণ আমরা গ্রেফতার করতে না চাইলেও অপরাধের পরিকল্পনাকারী ও অপরাধীদের পুলিশ ছেড়ে দেবে না।’
‘এ সব কারণে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘দেশের ও মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে আগামী নির্বাচনেও ইনশাআল্লাহ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে ধস নামানো বিজয় অর্জন করে পর পর চতুর্থবার এবং শুরু থেকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকব।’
মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সহসভাপতি সাদেক খান এমপি, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক রানা সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে আসাদ এভিনিউতে মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪২:৪১ ১৩৩ বার পঠিত